মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। কেন ঘটছে এত দুর্ঘটনা? আমাদের করণীয় কি? বাংলাদেশে দিন দিন মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। আমরা প্রতিনিয়তই কোন না কোন মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনার কথা শুনে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইকার কমিউনিটি তে গেলেই প্রতিদিন অনেক দুর্ঘটনার সংবাদ দেখতে পারি। প্রতিটি দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক। বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় বাইকার তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করছে এটা আমাদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত কিন্তু সেই অনুযায়ী বাড়ছে না দক্ষ চালকের সংখ্যা। এই কারণেই হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত সব দুর্ঘটনা।
কিছু কিছু ছোট এবং বড় ভুলের কারণেই আমরা দুর্ঘটনার শিকার হই। ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চললেই নিয়ে যাওয়া যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ।চলুন দেখে নেওয়া যাক দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
- অতিরিক্ত গতি অধিকাংশ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায়ী। তাই যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন।
- অসতর্ক ওভার টেকিং দুর্ঘটনার একটি মূল কারণ, অবশ্যই রাস্তায় ওভারটেকিং সিগনাল দেখি সামনে-পেছনে সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে ওভারটেকিং করা উচিত।
- মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রেকিং করার কৌশল টা খুবই গুরুত্বপূর্ণতা ই সঠিকভাবে ব্রেক প্রয়োগ করা আয়ত্ত করুন ।
- অসাবধানতার সাথে কর্নারিং করা অনেক দুর্ঘটনা ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাই কর্নারিং করার সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করে কর্নারিং করা উচিত।
- বাইক রাইডিং এর পূর্বে লুকিং ঠিক করে নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ এতে করে রাইডিং করার সময় মনোযোগ বিচ্চিন্ন হবে না এবং পিছনের যানবাহন এর গতিবিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।
- বাইক রাইডিং সময় সঠিক ভাবা ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে এবং হেডলাইট ব্রেক লাইট জ্বলছে কিনা সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত।
- নিরাপদ রাইডিং এর জন্য প্রয়োজন মনোযোগী হওয়া। বাইক চালানোর সময় অবশ্যই আপনার মনোযোগ যেন গাড়ি এবং রাস্তার দিকেই থাকে। কখনোই গাড়ি এবং রাস্তা থেকে মনোযোগ সরাবেন না। একটু অমনোযোগী রাইটিং এর জন্য দুর্ঘটনা হতে পারে।
- অনেক সময় আমরা প্রতিযোগিতা করে মোটরসাইকেল রাইডিং করি এটি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। তাই মাথা ঠান্ডা রেখে মোটরসাইকেল চালানো উচিত। মনে রাখবেন আপনি মোটরবাইক প্রতিযোগিতায় নামেননি , নিরাপদে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন।