Motorcycle Break In Period

Motorcycle Break In Period/মোটরসাইকেল ব্রেক ইন পিরিয়ড কি?

মোটরসাইকেল ব্রেক ইন পিরিয়ড কি? কেন? কিভাবে?

Motorcycle Break In Period/মোটরসাইকেল ব্রেক ইন পিরিয়ড কি? মোটর সাইকেলের ব্রেক ইন পিরিয়ড কি? কিভাবে এটি মেন্টেন করতে হয় ? কেন মানতে হবে ?না মানলে কি হবে? এই সকল বিষয়ে আপনাদের পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব।

Motorcycle Break In Period

আমরা যখন একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনে তখন মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সিলিন্ডার,রিং, পিস্টন এগুলো মসৃণ থাকে না এই  অমসৃণ ইঞ্জিনকে মসৃণ করে তোলার নিয়ম কে ব্রেকইন পিরিয়ড বলে। মোটর সাইকেলের ব্রেকইন পিরিয়ড শুরু হয় ০ থেকে ১৫০০ অথবা ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই সময়ের ভিতর আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে আপনার মোটরসাইকেলটি চালাতে হবে। নতুন বাইক কিনে আপনাকে অবশ্যই ব্রেক ইন পিরিয়ড মানতে হবে। 

ব্রেক ইন পিরিয়ড না মানলে কি হবে ?

  • পারফরম্যান্স কমে যাবে 
  • ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়িত্ব কমে যাবে
  • মাইলেজ কমে যাবে 
  • টপ ইস্পিড ভাল পাবেন না
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

আসুন এবার জেনে নেয়া যাক কিভাবে ব্রেক ইন পিরিয়ড মানবেন। 

  • প্রথমত আপনাকে মোটরসাইকেলের প্রতি যত্নবান হতে হবে। 
  • মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন এর উপর কোন প্রেসার প্রয়োগ করা যাবে না। 
  • ব্রেকিং পিরিয়ডের প্রথম 500 কিলোমিটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিন বাইক স্টার্ট দেওয়ার পর ইঞ্জিন গরম হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ সময় দিবেন যাতে ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিন এর সকল স্থানে ছড়িয়ে যেতে পারে।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে 10 থেকে 15 কিলোমিটার  বাইকটি চালাতে হবে। 
  • উচ্চ আরপিএম এ মোটরসাইকেল চালাবেন না ৪০০০ থেকে ৫০০০ আরপিএম এর মধ্যে মোটরসাইকেল চালানোর চেষ্টা করুন। 
  • বাইকটি প্রথম ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করে ফেলুন।
  • অবশ্যই আপনার মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন। 
  • ব্রেকইন পিরিয়ড চলাকালীন আপনে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন। 
  • ইঞ্জিন অয়েল এর সাথে অয়েল ফিল্টার চেঞ্জ করে ফেলুন ।
  • ব্রেক ইন পিরিয়ড এর সময় লং রাইড করা যাবে না 30 থেকে 40 মিনিট চালানোর পর কিছুক্ষণ বিরতি দিন এবং পরবর্তীতে আবার চালান।
  • ভারী পিলিন নিয়ে মোটরসাইকেল রাইট করবেন না।
  • প্রথম ১৫০০থেকে ২৫০০কিলোমিটার আগে আপনি কখনোই বাইকের টপ স্পিড চেক করা অথবা উচ্চ গতিতে বাইক চালানোর চেষ্টা করবেন না সর্বোচ্চ ৪০০০ থেকে ৫০০০ আরপিএম এর মধ্যে বাইক চালানোর চেষ্টা করবেন। 
  • ইঞ্জিনের উপর প্রেসার না দিয়ে খুব স্মুথ  ভাবে গেয়ার শিফটিং করুন।

আমরা চেষ্টা করেছি সকল তথ্য তুলে ধরতে আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমরা কোন তথ্য ভুল প্রদান করে থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আমরা চেষ্টা করব সেটার সমাধান করতে। বেঙ্গল বাইকারের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের সকল মোটরসাইকেলের দাম জানতে এখানে ক্লিক করুন

যুক্তহন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে